ইরান আমেরিকা যুদ্ধ দিনক্ষণ কি চূড়ান্ত ?
সেইসাথে সব সিদ্ধান্ত হতে হবে। ন্যায় ও সাম্যের ভিত্তিতে। তবে ট্রাম্প ও সবের ধার ধারেন না, তা একরকম পরিষ্কার কথা। ইরান ওয়াশিংটনের কথামতো পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে উম মানে সোজা বোমা পড়বে তেহরানে।ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, আলোচনায় ইরানকে বাগে আনা না গেলে ইসরাইলের নেতৃত্বে ইরানের পারমাণবিক সাইট গুলোতে বোমা হামলা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাওয়া ইরান পরমাণু কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি সরে আসুক। তবে তেহরান আবার তাতে রাজি হয়। ইরান কৌশলগত কারণেই পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চায়।এমন উত্তেজনার মধ্যেই পশ্চিম এশিয়ায় সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন পৌঁছানোর খবর দিয়েছে মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কম্যান্ড বাসিন কম।
সে কম দাবি করেছে, ইয়েমেনের সক্রিয় হতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য ইউএসএস কার্ল ভিনসন কে সেখানে পাঠানো হয়েছে। গত বছর থেকে ওই অঞ্চলে আরেকটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান মোতায়েন রয়েছে।ন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি এই ঘোষিত উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংশয় তৈরি করেছে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন, পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে আমেরিকা।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পরমাণু চুক্তি নিয়ে তেহরানের ওপর চাপ বাড়াতেই ট্রাম্পের এই কৌশল।গত 15 মার্চ থেকে ইরানের মদতপুষ্ট ওই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরাল করেছে আমেরিকা। কিন্তু ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভি যানের গতি বাড়ানোর জন্য এর 35 স্টেলথ যুদ্ধবিমান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা বাড়ে। ইউএসএস কার্ল ভিনসন কে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা ছিল কি না তা নিয়ে সন্দিহান প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা৷ নয়।
এই ঘটনার ফলে পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ পরমাণুশক্তি নিয়ে আলোচনা সফল না হলে আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ট্রাম্পের হুমকির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
0 Comments